ইসবগুল ভূষি উপকারীতা
যুবক থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই বোধহয় ইসবগুলের নাম শুনেছে। ইসবগুলের ভূষি শরীলকে রাখে সুস্থ ও সজীব। বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে রাখে।
ইসবগুলের উপকারীতা:
১. কোষ্ঠ কাঠিন্য দূব করে হজমী শক্তি বৃদ্ধি করে।
২. অশর্ (পাইলস) রোগের কারনে মলদ্বারের ব্যাথা ও রক্তক্ষরন প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর।
৩. পেটের যাবতীয় অসুখ পাতলা পায়খানা ও রক্ত আমাশয় নিরাময়ে সাহায্য করে।
৪. পাকস্থলী ও অন্ত্রে মিউকাস মেমব্রেনে সৃষ্টি আলসার বা ক্ষত নিরাময়ে সহায়ক ।
৫. কোলন ক্যানসার এর সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় ।
৬. ডায়াবেটিক রোগীর রক্তে সুগারের পরিমান নিয়ন্ত্রণ সাহায্য করে
৭. গ্যাষ্ট্রিক বা পাকস্থলীর অস্বস্থিবোধ এর কারনে সৃষ্ট যন্ত্রণা উপশমে সহায়ক
৮. যেকোনো কারণে প্রস্রাব হলুদ হয়ে জ্বালাপোড়া হলে সকালে এক গ্লাস ও বিকেলে এক গ্লাস শরবতের সাথে ইসবগুলের ভুসি খেলে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া চলে যায়।
ইসবগুলের সতর্কতা
এটি শুধুমাত্র উল্লেখিত সমস্যাগুলোর ঘরোয়া সমাধান। যদি খুব বেশি গুরুতর অবস্থা হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
ইসবগুল কেনার সময় দেখে নিন
ইসবগুল আমাদের দেশে বাজার থেকে শুরু করে সুপার মার্কেট সব জায়গাতেই বেশ সহজলভ্য। তবে কেনার আগে কিছু ব্যাপার অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।
১.আজকাল প্যাকেটজাত বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম স্বাদের ইসবগুল পাওয়া যায়। তবে ভালো ফল পেতে গেলে এসব কৃত্রিম স্বাদের ইসবগুল না খেয়ে সাধারণ ইসবগুল খান।
২. বিভিন্ন দোকানে সাধারন ইসবগুলে কৃত্রিম স্বাদ ও রং যোগ করে বিশেষ কার্যকারিতার কথা বলে তা বিক্রয় করা হয়। যা মূলত স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই সাধারণ ইসবগুল খাওয়াই সবচেয়ে উত্তম।
৩. প্যাকেটজাত ইসবগুল কিনুন
৪. কখনোই খোলা ইসবগুল কিনবেন না। সেগুলো নষ্ট বা ভেজাল মিশ্রিত হতে পারে। যার ফলে এটি খেয়ে ভালো ফল নাও পেতে পারেন।
ইসবগুল ভূষির প্রস্তুত প্রনালী:
১ গ্লাস ঠান্ডা বিশুদ্ধ খাবার পানিতে ১-২ চা চামচ ভূষি প্রয়োজন চিনি/ গুড় দিয়ে ভালভাবে মিশিয়ে পান করুন।